বিশ্বসেরা অলিম্পিক গেমসের ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নিন!

আসসালামু আলাইকুম।

অলিম্পিক গেমস নাম শোনেনি এরকম লোক হয়তো হারিকেন লাগিয়ে খুঁজলে পাওয়া যাবেনা। আজকের এই পোস্ট এ বিশ্বসেরা অলিম্পিক গেমস এর ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। অলিম্পিক গেমস, যা আজকের দিনে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচিত হয়, এর শুরু থেকেই মানবতার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই গেমস এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আমাদের ফিরতে হবে প্রাচীন অতীতে। প্রাচীন গ্রীস যেখান থেকেই মূলত এই গেমস এর উৎপত্তি হয়েছিল। তো চলুন আর কথা না বলে শুরু করা যাক।

প্রাচীন অলিম্পিক গেমসের উৎপত্তি:

অলিম্পিক গেমসের উৎপত্তি হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে, অলিম্পিয়া শহরে। খ্রিস্টপূর্ব ৭৭৬ সালে প্রথম অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম দিকে মূলত এটা শুরু হয়েছিল একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কে ঘিরে। ৪ বছর পর পর এই গেমস টির আয়োজন করা হত। তখন এই অলিম্পিক গেমস হয়েছিল গ্রীক সভ্যতার একটি প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।

প্রথম দিকের অলিম্পিক গেমসে শুধুমাত্র গ্রীক পুরুষরা অংশগ্রহণ করতে পারতেন এবং প্রধানত দৌড়, লং জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো, ডিসকাস থ্রো এবং রেসলিংয়ের মতো ইভেন্টগুলোতে প্রতিযোগিতা হতো। প্রথম দিকে খুব সাধারণ অলিভ পাতা দিয়ে তৈরি মুকুট বিজয়ী কে পরিধান করে দেওয়া হতো। যা তখনকার সময়ে ছিল অনেক সম্মানের।

আধুনিক অলিম্পিক গেমসের যাত্রা:

প্রাচীন অলিম্পিক গেমস প্রায় ১২০০ বছর ধরে চলে আসছিল। কিন্তু খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকে রোমান সম্রাট থিওডোসিয়াস প্রথম এই গেমস বন্ধ করে দেন। দীর্ঘদিন পর, উনিশ শতকের শেষের দিকে, ফরাসি ব্যারন পিয়ের দ্য কুবের্তিন প্রাচীন গেমসকে চালু করার জন্য প্রস্তাব দেন এবং বর্তমান আধুনিক অলিম্পিক গেমস এর যাত্রা শুরু হয়।

আধুনিক অলিম্পিক গেমস প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয়েছিল ১৮৯৬ সালে এবং এথেন্সে এটি প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল। এটাই প্রথম ছিল বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা যেখানে বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করেছিল। প্রথম গেমসের ১৩টি দেশের ২৪১ জন ক্রীড়াবিদ ৪৩টি ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন।

Source: Wikipedia

তারপর থেকেই অলিম্পিক গেমস ধীরে ধীরে অনেক জনপ্রিয় একটি খেলায় রূপান্তর হতে থাকে। আর এখন বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হল Olympic Games। এটা শুধু একটা গেম নয়, হাজার হাজার মানুষের আবেগ। এটি মানবতার মিলন, শান্তি এবং সহযোগিতার প্রতীক। এই গেমসের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ একত্রিত হয় এবং তাদের সংস্কৃতি, ভাষা এবং ঐতিহ্যের পার্থক্য ভুলে একসঙ্গে ক্রীড়া জগতের বড় অর্জন উদযাপন করে।

অনেক কষ্ট করে পোস্ট লিখি। আপনাদের কাছে পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটা কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment